জুয়ায় জেতার তাবিজ



হরমোন নিঃসরণে ভয় ও উদ্বেগ মানুষকে আরও অধিক হার্ড হওয়া ও কঠিন স্টেপমেন্টে যেতে ট্রিগার করে [এই বিষয়টা উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে গেলে যখন কেউ বারংবার হেরেই যাচ্ছে আর হেরেই যাচ্ছে তখন উদ্বেগ এর হেতু সে থেমে না গিয়ে বরং আরও কঠিন করে “এইবার জিততেই হবেই হবে” এমন ইফোর্টে স্টেপ নিতে বাধ্য করায় – এটাকে অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণও সচরাচর বলা যায়] <<<দ্বৈত ইফেক্ট>>> সেরোটোনিন (Serotonin) মানসিক তৃপ্তি ও প্রশান্তি জাগায় যা Relaxation এর মাধ্যমে কমফোর্ট ফিল করায় এবং একই জেতার নেশায় মত্ত রাখে <<<দ্বৈত ইফেক্ট>>> অক্সিটোসিন (Oxytocin) এবং এন্ডোরফিন (Endorphin) হরমোন একরূপ আসক্তির মতো কাজ করে যা মস্তিষ্কে রিলিফনেস যোগায় [বিষয়টা বোঝানো একটু জটিল হলেও যারা যারা জুয়াতে আসক্ত তারা যখন টাকার অভাবে হউক কিংবা অন্য যেকোন কারনেই হউক না কেন জুয়া খেলার সুযোগ পায় না তখন তারা পাগলের মতো উন্মাদ হয়ে যায় – সেক্ষেত্রে টাকার বদলে ছাগলে খাওয়ার কাঠাল পাতা দিয়েও যদি তাদের জুয়াতে বসানো যায় তবুও তারা এক প্রকার রিলিফ অনুভব করে]।

তাবিজের ক্রিয়াকৌশল

একটি তাবিজ যা কিনা ব্যক্তির সাবকনশিয়াস মাইন্ডে ইফেক্ট ও ইমপ্যাক্ট সৃষ্টি করতে সক্ষম – উহা ব্যক্তির মনে ভরসা ও আস্থার স্থান হতে যে শক্তি যোগায় [এই শক্তি বিষয়টি আধ্যাত্মিক নয় বরং সাইকোলজিক্যাল ব্রেইন ফাংশানাল হরমোন কালচার] তা যখন সুদৃঢ় হয় [এই যেমন কয়েকবার ঐ তাবিজ অনুসরণ করায় বিশ্বাসের হেতু জয়লাভ করার পর যেমন মানসিক অবস্থানে ভক্তি চলে আসে] তাতেই তাবিজের ক্রিয়াশীলতা প্রতীয়মান হয়। এছাড়াও এই বিশ্বাস স্থাপনে আরও যেসব সাইকোলজিক্যাল ট্রিক ব্যবহার করা হয় তাতে ব্যক্তির মনের ওপর দারূন প্রভাব বিস্তার করে যেমন আপন রক্তের ফোটা ব্যবহার/ দাঁড়কাক কিংবা শকুনের পাখনা ব্যবহার/ সাত রং এর সুতোতে বাঁধা গিট্টু ইত্যাদি [এসব জঘণ্য টার্ম আর লিখতে ইচ্ছে করছে না – তথাপি সিগনিফিকেন্স বোঝাতে সংক্ষেপে কয়েকটি বললাম]।
এখানে ব্যক্তির মনে যতোটা গভীর প্রভাব সৃষ্টি করবে – ততোই প্রগাঢ়ভাবে উক্ত ব্যক্তি পরিচালিত হবে; যেখানে তাবিজ কেবলি এক উপলক্ষ্য মাত্র।

আসলেই তাবিজ কি কার্যকরী?

হ্যা, তাবিজ কার্যকরী – তবে এই কার্যকারীতা ঐ উপরের উদাহরণে বলা প্লাসিবো ইফেক্টের মতোই; যেখানে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসাতে শেষ পর্যায়ে (লাস্ট স্টেইজে) কোন ট্রিটমেন্ট অবশিষ্ট না থাকলেও যেমন স্রেফ একটা ভিটামিন ট্যাবলেট তার মস্তিকে সাময়িক সুস্থতার স্বল্প আয়াশ তৈরী করে তেমনি ব্যক্তির বিশ্বাসকে ব্যবহার করে তারই বিশ্বাসের হেতু জুয়া জেতার জন্য তাবিজ ক্রিয়াশীল হয়; এর অর্থ কখনোই এবং কখনোই তাবিজ আদৌ জয়ী/বিজয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে এককভাবে নূন্যতম সক্ষমতা রাখে না!

এই লেখা কেন লিখলাম?!

নাহ, আমি কাউকে জুয়া খেলতে পরামর্শ দিবো না কিংবা প্রেফার করবো না – আবার বিধিনিষেধ আরোপ করছি না [বোধকরি আমার উপদেশে কারোর কিছুই যাবে আসবে না] তথাপি ঠিক যতোটুকু বিষয় জানার ফলে সাইকোলজিক্যালি আপনার ব্রেইন ডেভোলপ [ভাবনা চিন্তার উৎকর্ষতা বৃদ্ধি] সেটাই আমার লেখার উদ্দেশ্য এবং স্বার্থকতা।

তবে লেখার শেষে তান্ত্রিক টোটকা নয় বরং একটা সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনস ওয়াইজ টেকনিক্যাল ট্রিক বলে দিই “আপনি যেকোন সিস্টেমে প্রবেশ করুন >>> সেটা এনালাইসিস করুন >>> সিস্টেম কোর ফাংশান Logic আইডিয়েন্টিফাই করুন >>> সেটার সাথে আবারও পুনরায় সিস্টেম রিকল করে লগারিদম ম্যাচিং করুন >>> ফাইনালি সবকিছু ঠিক থাকলে ইউটিলাইজ করুন” এটাকে জুয়ার জন্য নয় বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন তাতে অব্যর্থ উপায়ে অবশ্যই জয়ী হতে পারবেন!

আরও নতুন পোষ্ট পরবর্তী পোষ্ট

Related Posts

Facebook